Wed. Oct 30th, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

কোটচাঁদপুরে ডাইভারশন রোডে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম আমের হাট

1 min read
কোটচাঁদপুরে ডাইভারশন রোডে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম আমের হাট

কোটচাঁদপুরে ডাইভারশন রোডে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম আমের হাট

কোটচাঁদপুরে ডাইভারশন রোডে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম আমের হাট
কোটচাঁদপুরে ডাইভারশন রোডে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম আমের হাট

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ডাইভারশন রোডে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম আমের হাট। এ হাট থেকে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার আম।

ঝিনাইদহ জেলার সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলা, যশোর জেলার চৌগাছা, ঝিকরগাছা উপজেলা ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা উপজেলার ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন এ হাটে আম বিক্রি করেন।

কোটচাঁদপুর আম ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আব্দুল লতিফ জানান, কোটচাঁদপুর আম বাজারটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার। এ বাজারে সকাল ৭টা থেকে রাত পর্যন্ত আম বেচাকেনা হয়। এ বাজারে প্রতি মণ ল্যাংড়া ১ হাজার ৩শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা, হিমসাগর ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা, বোম্বাই আম ১৪শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অন্য জাতের আম ৭শ’-১ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও এখানে দেশীয় জাতের (আটির) আম প্রতি মণ ৫-৬শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কোটচাঁদপুরের আম বাজারে বর্তমানে ৮০টির মতো দোকান আছে। তাছাড়া এ হাটে প্রায় ২শ’ ব্যবসায়ী আম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

আম ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, আমি এবার কোটচাঁদপুর উপজেলায় প্রায় ১০ একর জমির আম বাগান ক্রয় করেছি। কাঁচা আম গাছ থেকে ভেঙে (পেড়ে) বাজারে এনেছি। আমরা এখানে আম পাকানোর জন্য কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করি না। যার কারণে আমাদের কোটচাঁদপুরের আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখান থেকে কাঁচা আমই দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকে।

কোটচাঁদপুর আম ব্যবসায়ী সমিতির আরেক নেতা সঞ্জয় জানান, আমের ব্যবসা ২-৩ মাস থাকে। এ অঞ্চলের আমের সাইজ ও রং ভালো। এ বাজারে অনেক আম আসে। গত কয়েক বছর থেকে এ হাটের ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর, বোম্বাইসহ বিভিন্ন জাতের আম কিনে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।

সরকার যদি এখানে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করত তাহলে সারা বছরই দেশের বিভিন্ন স্থানে আম সরবরাহ করা যেত। আমরা চেষ্টা করছি এ অঞ্চলের আম ইউরোপে রফতানির। হয়তো এ বছর কিছু আম আমরা পাঠাতে পারব।

কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, কোটচাঁদপুরে আমের হাটে তারা পৌরসভা থেকে নিয়মিত তদারকি করেন। এমনকি প্রতিদিন তিনি একবার বাজারে ঘুরে আসেন। এখানকার ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেয়া আছে তারা কোনো ফলে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশাতে পারবে না।

কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম জানান, কৃষি অফিসের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে আম বাগানে কৃষকদের নিয়ে তারা নিয়মিত সভা করছেন। সভায় কৃষকদের বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার না করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

এছাড়াও তিনি প্রায়ই বাজারে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। সেখানে তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছেন। শিগগিরই এ এলাকার চাষি ও ব্যবসায়ীরা আম বিদেশেও রফতানি করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *