গরুর খামার করে তানভীরের সাফল্য

গরুর খামার করে তানভীরের সাফল্য

আসছে কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে ৪০ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি। অত্যন্ত যত্ন সহকারে গরুগুলোকে লালন-পালন করেছি। কোনো কেমিক্যাল বা গরু মোটাতাজাকরণের ক্যাপসুল ব্যবহার করিনি।` কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মলিকপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন প্রিন্স।
তিনি আরো জানান, একস ময় ভাগ্য সহায় ছিল না। মাস্টার্স পাস করেও ছিলাম বেকার। কেই কথা শোনাতে ছাড়েনি।
কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে মাস্টার্স শেষ করি। চাকরির জন্য আবেদন করলেও কোথাও চাকরি হয়নি। মন স্থির করি গরু পালন করবো। প্রথমে ৩টি গরু দিয়ে খামার শুরু করি।
যশোরের বেনাপোল বর্ডার এলাকার সাতমাইল বাজার থেকে গরু ক্রয় কার। বেশির ভাগই নেপালি ও হরিয়ান জাতের। প্রতিটি গরু ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা। এবারের ঈদে ৩০টি গরু বিক্রি হবে। বর্তমানে ৩২ বিঘা জমির ওপর ফার্ম রয়েছে। একেকটি গরু আড়াই লাখ টাকা করে বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, এমন কাজে যুবকদের এগিয়ে আসাকে অবশ্যই জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস স্বাগত জানায়।