ঝিনাইদহে জেলা পরিষদের পরাজিত মেম্বররা টাকা আদায়ে মাঠে

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভোট না দিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন ঝিনাইদহের কয়েক’শ ইউপি মেম্বর। ভোট না দেওয়ার কারণে এখন তাদের টাকা ফেরৎ দিতে হচ্ছে। এ নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শালিস বৈঠক হচ্ছে। কোন কোন ইউপি মেম্বর টাকা দিতে না পেয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরা ভোটার ছিলেন। ফলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীরা তাদের দারস্থ হন। সুযোগ বুঝে তারা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। কেও কেও শাড়ি, লুঙ্গি, এলপি গ্যাসসহ নানা উপঢৌকন গ্রহন করেন। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর পরাজিত মেম্বর প্রার্থীরা জোট বেধে মোবাইলে কথা রেকর্ড করে হাজির হচ্ছেন ইউপি মেম্বরদের বাড়িতে। ইতিমধ্যে কয়েক’শ ইউপি মেম্বর গোপনে টাকা ফেরৎ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।পরাজিত প্রার্থীদের কেও কেও বল প্রয়োগ করে টাকা আদায় করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের মোজাম্মেল হক মেম্বর পদে ভোটে দাড়িয়েছিলেন। মোজাম্মেল হক ভোটে পরাজিত হন। এখন তিনি টাকা আদায়ে তৎপর হয়েছেন। সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা চাঁদপুরের মিন্টু মেম্বর মোজাম্মেলের পক্ষে টাকা আদায় করছেন বলেও এলাকায় গুজব রটেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের মেম্বরদের মধ্যে সাগরীকা পারভিন, শিউলি, পারুল ও মরিয়ম ভোটের আগে মোজাম্মেল হক ও তার লোকজন আমাদের ১২ জন মেম্বর প্রতি দশ হাজার করে টাকা ও খাওয়া-দাওয়া দেন। আমরা টাকা পয়সা নিতে ও খাওয়া-দাওয়া করতে অস্বিকার করলে এমপির ভয় দেখিয়ে জোর করে আমাদেরকে টাকা-পয়সা দেন।
ভোটে ফেল করার পরপরই মোজাম্মেল ও তার লোকজন জোর যবরদস্তি করে আমাদের কাছ থেকে সমস্ত টাকা পয়সা আদায় করে নেন ও আমাদের বসত বাড়ী ভাংচুর করেন।
ঝিনাইদহ সদরের ডাকবাংলা বাজারের উত্তর নারায়ন পুরের সাগরীকা পারভিন মেম্বর, ডাকবাংলা বাতপুকুরের মরিয়ম মেম্বর, সাগান্না ইউনিয়নের শিউলি মেম্বর, হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরের মহিলা মেম্বর পারুল সহ ১২ জন মেম্বরের নিকট থেকে হুমকি-ধামকি ও সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে দশ হাজার টাকা আদায় করেছেন বলে মেম্বররা জানান। এ ব্যাপারে সাগান্না ইউনিয়নের পরাজিত মেম্বর মোজাম্মেল হক বলেন, তিনি ভোট কেনা বা ভোট কেনার টাকা ফেরৎ নেওয়ার সাথে জড়িত নয়। এ সব মিথ্যা কথা।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মেম্বর শাহানাজ, জামাল, বাবলু ও সানিমা খাতুন গতকাল টাকা ফেরৎ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা জেলা পরিষদের মেম্বর প্রার্থী জাহাঙ্গীর ও পলাশসহ একাধিক প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিলো। গান্না ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন মেম্বর গতকাল টাকা ফেরৎ দিয়েছেন বলে এলাকায় গিয়ে শোনা গেছে।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে ২/১ জন ব্যতিত সারা জেলার মেম্বররা একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ফলে ইউপি মেম্বরদের নীতি নৈতিকতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এ ধরণের লোভ সরকারী বরাদ্দের উপর প্রভাব পড়বে বলেও কেও কেও অভিমত ব্যক্ত করেন।ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভোট না দিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন ঝিনাইদহের কয়েক’শ ইউপি মেম্বর। ভোট না দেওয়ার কারণে এখন তাদের টাকা ফেরৎ দিতে হচ্ছে। এ নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শালিস বৈঠক হচ্ছে। কোন কোন ইউপি মেম্বর টাকা দিতে না পেয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরা ভোটার ছিলেন। ফলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীরা তাদের দারস্থ হন। সুযোগ বুঝে তারা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। কেও কেও শাড়ি, লুঙ্গি, এলপি গ্যাসসহ নানা উপঢৌকন গ্রহন করেন। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর পরাজিত মেম্বর প্রার্থীরা জোট বেধে মোবাইলে কথা রেকর্ড করে হাজির হচ্ছেন ইউপি মেম্বরদের বাড়িতে। ইতিমধ্যে কয়েক’শ ইউপি মেম্বর গোপনে টাকা ফেরৎ দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।পরাজিত প্রার্থীদের কেও কেও বল প্রয়োগ করে টাকা আদায় করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের মোজাম্মেল হক মেম্বর পদে ভোটে দাড়িয়েছিলেন। মোজাম্মেল হক ভোটে পরাজিত হন। এখন তিনি টাকা আদায়ে তৎপর হয়েছেন। সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা চাঁদপুরের মিন্টু মেম্বর মোজাম্মেলের পক্ষে টাকা আদায় করছেন বলেও এলাকায় গুজব রটেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের মেম্বরদের মধ্যে সাগরীকা পারভিন, শিউলি, পারুল ও মরিয়ম ভোটের আগে মোজাম্মেল হক ও তার লোকজন আমাদের ১২ জন মেম্বর প্রতি দশ হাজার করে টাকা ও খাওয়া-দাওয়া দেন। আমরা টাকা পয়সা নিতে ও খাওয়া-দাওয়া করতে অস্বিকার করলে এমপির ভয় দেখিয়ে জোর করে আমাদেরকে টাকা-পয়সা দেন।
ভোটে ফেল করার পরপরই মোজাম্মেল ও তার লোকজন জোর যবরদস্তি করে আমাদের কাছ থেকে সমস্ত টাকা পয়সা আদায় করে নেন ও আমাদের বসত বাড়ী ভাংচুর করেন।
ঝিনাইদহ সদরের ডাকবাংলা বাজারের উত্তর নারায়ন পুরের সাগরীকা পারভিন মেম্বর, ডাকবাংলা বাতপুকুরের মরিয়ম মেম্বর, সাগান্না ইউনিয়নের শিউলি মেম্বর, হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরের মহিলা মেম্বর পারুল সহ ১২ জন মেম্বরের নিকট থেকে হুমকি-ধামকি ও সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে দশ হাজার টাকা আদায় করেছেন বলে মেম্বররা জানান। এ ব্যাপারে সাগান্না ইউনিয়নের পরাজিত মেম্বর মোজাম্মেল হক বলেন, তিনি ভোট কেনা বা ভোট কেনার টাকা ফেরৎ নেওয়ার সাথে জড়িত নয়। এ সব মিথ্যা কথা।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মেম্বর শাহানাজ, জামাল, বাবলু ও সানিমা খাতুন গতকাল টাকা ফেরৎ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা জেলা পরিষদের মেম্বর প্রার্থী জাহাঙ্গীর ও পলাশসহ একাধিক প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিলো। গান্না ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন মেম্বর গতকাল টাকা ফেরৎ দিয়েছেন বলে এলাকায় গিয়ে শোনা গেছে।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে ২/১ জন ব্যতিত সারা জেলার মেম্বররা একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ফলে ইউপি মেম্বরদের নীতি নৈতিকতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এ ধরণের লোভ সরকারী বরাদ্দের উপর প্রভাব পড়বে বলেও কেও কেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
ঝিনাইদহ নিউজ, ডেস্ক রিপট