ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতে প্রতি মাসে লোকসান সোয়া ৪ কোটি টাকা

এখন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের প্রতি মাসে সোয়া ৪ কোটি টাকা করে লোকসান যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে প্রায় ৫০ কোটি টাকা লোকসান হবে। যত গ্রাহক বাড়ছে ও পল্লী বিদ্যুতের প্রসার ঘটছে লোকসানের পরিমাণ ততো স্ফীত হচ্ছে। এ তথ্য ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের।ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, পিডিবি থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে হয় চার টাকা ৫১ পয়সা হারে।
আবাসিক গ্রাহকদের কাছে প্রতিইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয় তিন টাকা ৮০ পয়সা থেকে পাঁচ টাকা ২৪ পয়সা পর্যন্ত হারে। এতে প্রতি ইউনিটে লোকসান হয় প্রায়দুই টাকা করে। বর্তমানে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের গাহক সংখ্যা দুই লাখ ৬০ হাজারের উপরে। প্রতি মাসে গড়ে পাঁচ হাজার করে গ্রাহক বাড়ছে। আর এখন মাসে পৌনে দুই কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়। সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে লোকসান কমিয়ে আনা হয়ে থাকে।
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২১তম সাধারণ সভায় কোষাধ্যক্ষের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও অন্যান্য পরিচালন খাতে আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৪৪ টাকা। অপরদিকে বিদ্যুৎ ক্রয়, বিতরণ, পরিচালন, মেরামত, সম্পত্তির অপচয়, সুদ ও অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে মোট খরচ হয়েছিল ৯০ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা।
ঝিনাইদহ জেলায় গ্রামের সংখ্যা হচ্ছে ১১৪৫টি। এর মধ্যে এক হাজার আটটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। ১৩৭ গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছেনি।ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার আলতাফ হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। এখানকার অধিকাংশই আবাসিক গ্রাহক। এ জন্য লোকসান বেশি হচ্ছে। শিল্প কারখানায় সংযোগ বৃদ্ধি পেলে লোকসান কমে যাবে বলে তিনি জানান।