র্যাব ক্যাম্পের পাশে ‘জঙ্গি আস্তানা’, আতঙ্কে গ্রামবাসি

র্যাব ক্যাম্পের পাশে ‘জঙ্গি আস্তানা’, আতঙ্কে গ্রামবাসি

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ফের ঝিনাইদহ সদরের দুটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানান, সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের দুটি বাড়ি মঙ্গলবার ভোর থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা হয়েছে। র্যাব ক্যাম্প থেকে ৫০০ গজ দুরে দুটি বাড়িতে অভিযান চলছে। আর এই নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগর আলী জানান, আমার দুটি ছেলে আছে। তাদের নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। কখন যে কী হয়?
লিকু নামের একজন জানান, কিছুদিন আগে পাশের গ্রাম পোড়াহাটিতে জঙ্গি আব্দুল্লাহ’র বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এবার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের দুটি বাড়িতে। খুবই ভয় লাগছে। এভাবে একের পর এক এ এলাকায় জঙ্গি আস্তানা হওয়ায় আমরা খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।একটি বাড়ি মহেশপুরের বজরাপুরে নিহত জঙ্গি তুহিনের এবং অপর বাড়িটি তার চাচাতো ভাই প্রান্তের। এখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিহত জঙ্গি তুহিনরা ৫ ভাই দুইবোন। এরমধ্যে ২ ভাই দেশের বাইরে থাকে, সেলিম আগে বিসিকে শ্রমিকের কাজ করত। এখন বাড়িতেই থাকতো। আর তুহিন কিছুদিন আগে মহেশপুরের বজরাপুরে নিহত হয়। বাড়িতে এখন একটা ছোট ভাই আছে।
নব্য জেএমবির সদস্য প্রান্ত ও সেলিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত অভিযানে ২টি সুইসাইডাল ভেস্ট অ্যাকটিভ অবস্থায় প্রান্তর বাড়ির পাশের বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নিও জেল এক্সপ্লুসিভ ১৮টি, ১টি এন্টি পারসোনাল মাইন সদৃস্য্য বস্তু, ১৮৬টি পিভিসি সার্কিট, ১৫/২০ টি ডাইনামাইট স্টিক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রান্ত ও সেলিমকে আটক করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার অভিযান চলছে। তারা দুজনই নব্য জেএমবির সদস্য। অভিযান শেষ হলে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিস্তারিত জানানো হবে।