সব ব্যবসায় লচ আছে, আমার ব্যবসায় লচ নাই

সব ব্যবসায় লচ আছে, আমার ব্যবসায় লচ নাই

”সকালে খালি হাতে বের হই আর বিকালে টাকা-পয়সা নিয়ে বাড়ি ফিরি। সবদিন যে একরকম যায় তা না তবে মাসের বিশ দিনই মুটামুটি কিছু না কিছু অবশ্যই হয়। সবার ব্যবসায় লচ আছে কিন্তু আমার ব্যবসায় কোন লচ নাই।” চা খেতে খেতে কথা গুলো বললেন মহেশপুর উপজেলা শহরের ভিক্ষুক আব্দুল হাকিম লেন্টু।
তিনি আরও জানান, তার বয়স ৫০ কিন্তু শরীরে কোন রোগ ব্যাধী নাই। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে ঘুরে ২৫০ /৩০০ টাকা রোজগার করেন তিনি।
মহেশপুর পৌর এলাকায় আব্দুল হাকিম লেন্টুকে ভিক্ষা করতে দেখে প্রতিবেদক তার কাছে জানতে চান , কাজ করার সামর্থ থাকার পরও কেনো ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিলেন । তিনি বলেন, সংসারে আমরা ৫জন, এমন এক সময় ছিলো আমি সংসারের খরচ চালাতে পারতাম না । অনেক সময় না খেয়ে দিন কাটাতে হয়েছে।
ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিয়ে সংসার কোন রকমে চলে। এক ছেলে বি এ (অনার্স) পড়ছে, মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছি আর ছোট ছেলেটা ৭ম শ্রেণীতে পরছে। ভিক্ষা করেই তো ছেলে মেয়েদেরকে মানুষ করেছি। সে কারনেই ব্যবসা টাকে ছাড়তে পারছি না। তবে উপজেলা থেকে কিছু টাকা পেয়েছি ভিক্ষা ছেড়ে অন্য কোন ব্যবসা করে খেতে বলেছে তারা।