Sun. Apr 21st, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

কালীগঞ্জে দলীয় কোন্দলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

1 min read

কালীগঞ্জে দলীয় কোন্দলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

কালীগঞ্জে দলীয় কোন্দলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
কালীগঞ্জে দলীয় কোন্দলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মনোহরপুর গ্রামে বিপুল মন্ডল (২৩) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামে আহত হয়েছে আরো এক ছাত্রলীগ কর্মী। আহত জাহাঙ্গীরকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মনোপুর গ্রামের হাটখোলা এলাকার কবরস্থানের পাশে। নিহত বিপুল মনোহরপুর গ্রামের ফজলু মন্ডলের ছেলে ও ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বর প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে মনোহরপুর গ্রামে রাজনৈতিক দ্বন্দ শুরু হয়। পুকুরিয়া গ্রামের আ.লীগ নেতা লিটন মেম্বর ও মনোহরপুর গ্রামের আ.লীগ নেতা বজলু মন্ডলের মধ্যে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। লিটন মেম্বর চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরির আস্থাভাজন ও মনোহর গ্রামের আ.লীগ নেতা বজলু মন্ডল কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসরাইল হোসেনের ভাই।
নিহত বিপুলের চাচাতো ভাই রকিব হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে মনোহরপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল বিপুল ও জাহাঙ্গীর। এ সময় তারা গ্রামের বড় বাড়ির কবরস্থানের পাশে পৌছালে  আগে থেকে ওতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের দুইজনকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তাদের চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। সে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের অভিযোগ, লিটন গ্রুপের লোকজন তার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আর এই লিটন গ্রুপকে নিয়ন্ত্রন করে ৫নং শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরি। হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল পুকুরিয়া গ্রামের লিটন মেম্বর, সোহাগ, রামেল ও মনোহরপুর গ্রামের সাদ্দাম, রিয়াজ, মোহাম্মদ, নওশের, আমির, হুরাকসহ আরো ৫/৬ জন বলে জানান তিনি।
নিহত বিপুলের চাচা ও কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসরাইল হোসেন অভিযোগ করে জানান, চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরির নির্দেশে আমার ভাইপোকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে থানায় হত্যা মামলা করা হবে। বিপুল ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান আলম জানান, এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু’পক্ষের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে প্রতিপক্ষরা বিপুল ও তার সাথে থাকা জাহাঙ্গীরের উপর হামলা করে কুপিয়ে জখম করা হয়।
গুরুতর অবস্থায় বিপুলকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। অপর আহত জাহাঙ্গীরের অবস্থার অবনতি হলে রাত একটার দিকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা আমিনুল ইসলাম জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো থানায় মামলা হয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। মনোহরপুর গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *