Sun. Apr 21st, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

গুলশান জঙ্গী হামলার আগ পর্যন্ত ৪ মাস ধরে ঝিনাইদহে ছিল নিবরাস

1 min read
ঝিনাইদহে ছিল নিবরাস

ঝিনাইদহে ছিল নিবরাস

ঝিনাইদহে ছিল নিবরাস
ঝিনাইদহে ছিল নিবরাস

ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গী হামলার ৬ জঙ্গীদের মধ্যে অন্যতম নিবরাস ইসলাম হামলার আগে গত ৪ মাস ধরে ঝিনাইদহ শহরে অবস্থান করছিল। এ চার মাস ধরে ভয়ঙ্কর জঙ্গী নিবরাস ছোট্ট শহর ঝিনাইদহে কি করছিল, কি ছিল তার মিশন? এসব নিয়ে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর কৌতুহল দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রসঙ্গত, এসময় ঝিনাইদহে ঘটে যায় পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী হত্যা সহ বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড। যার দায় স্বীকার করে আইএস জঙ্গী সংগঠন।

গুলশান হামলার ঠিক ৫দিন আগে ২৮ জুন মেস ছেড়ে চলে যায় আইএস জঙ্গী নিবরাস । ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামান তাকে ঝিনাইদহে মেস ঠিক করে দেয়, দেখভাল করত । নিবরাস ছদ্দবেশে সাইদ নামে চলাফেরা করত। গুলশানে জঙ্গী হামলায় নিহতের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈদের আগের দিনে রাতে নিবরাস অবস্থানকারী সেই মেসটিতে হানা দিয়ে সন্দেহভাজন নিবরাসের ৫ সহযোগীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদের মধ্যে মসজিদের ইমাম ইবি ছাত্র রোকনুজ্জামান, মেস মালিক সাবেক সেনা সার্জেন্ট কওসর আলী, দু ছেলে বিনছার ও বিনজির ও রোকনুজ্জামানের সাথে থাকা কিশোর হাফেজ সাব্বির। তবে স্থানীয় র‌্যাব বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেয়া হয়নি এসব আটকের ব্যাপারে। তবে দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অভিযান চালাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নজরদারী করছে মেস সহ আশপাশের এলাকায়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ শহর থেকে প্রায় ২কিমি দূরে পৌরসভার ৩ নং পানির ট্যাঙ্কি এলাকার সোনালী পাড়ায় বসবাস করেন সাবেক সেনা সার্জেন্ট কওসার আালী। গত ৪মাস আগে তার বাসায় সাইদ নাম সহ ২ যুবক কে মেস ঠিক করে দিয়েছিলেন ঐখানকার মসজিদের ইমাম ইবি ছাত্র রোকনুজ্জামান রোকন।

বাড়ির মালিকের স্ত্রী বিলকিস নাহার জানায়, গুলশান হামলায় নিহত নিবরাস ইসলামের ছবি দেখে টের পায়, এখানে সাইদ নামের যে যুবক থাকত সেই জঙ্গী নিবরাস। এ ঘটনায় তার স্বামী ও দুই ছেলে কে র‌্যাব ধরে নিয়ে গেছে বলে জানান। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকবাসী নাজমুল হাসান সহ কয়েকজন জানায়, আমরা সাইদ নামে যাকে চিনতাম সেই নিবরাস ইসলাম, গুলশান ঘটনার পর ছবি দেখে মিলিয়েছে, সে ভাল ফুটবল খেলতো, কম কথা বলত, মুখে দাঁড়ি এবং সুদর্শন ছিল ।

মেসের রান্নার দায়িত্ব ছিল ফাতেমা নামের এক গৃহবধুর, তিনি জানান, সাইদ সহ ৪ যুবকের রান্না করে দিতেন তিনি। সাইদ ওরফে নিবরাসের খাদ্যতালিকা ছিল খুবই সাদামাঠা, তিনি জানান বেশীরভাগ সময় ডিম, ডাল ও আলু ভর্তা দিয়ে রান্না-বান্নার কাজ সারতেন।

এদিকে জঙ্গী নিবরাসের বিষয় ও ৫জনকে আটক নিয়ে কথা বলতে রাজী হয়নি ঝিনাইদহের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *