Sun. Apr 21st, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

মহেশপুরে ডাক্তারের ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যু

1 min read

download

আবারও ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারনে ফরিদা খাতুন (২৮) নামের এক গৃহ বধুর করুন মৃত্যু হয়েছে। জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তানটিও অসুস্থ হয়ে পরেছে। তরিঘরি করে গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারনে মৃত ফরিদা খাতুনকে তার বাবার বাড়ী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার তালসার গ্রামে নিয়ে দাফন করা হয়েছে। এ ভাবে একের পর এক ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারনে আর কত ফরিদা খাতুনকে জীবন দিতে হবে?
এলাকাবাসী জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে সন্তান প্রসবের যন্ত্রনা নিয়ে সিজার অপারেশনের জন্য ভর্তি করা হয় নেপার মোড়ে অবস্থিত মা ও শিশু ক্লিনিকে। পরে রাত ৮ টার দিয়ে ডাঃ গোলাম রহমান ফরিদা খাতুনের সিজার অপারেশন করেন। সিজার অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের। পরদিন শনিবার রাত ১১টার দিকে ফরিদা খাতুনের করুন মৃত্যু হয়।
তারপরও থেমে নেই ঝড়ে আর জঙ্গলে একের পর এক গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক নামের কসাই খানা। ক্লিনিক গুলোতে ডাক্তার থাক আর না থাক রাতের অন্ধকারে অপারেশনের হয়েই চলেছে। যা দেখার কেউ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানান, ক্লিনিকের প্রথম শর্তই হলো ১০টি বেডের জন্য একজন ডিল্পমা নার্স ও একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকতে হবে সার্ব ক্ষনিক ভাবে। কিন্তুু আমরা কি দেখি ডিল্পমা নার্সের পরিবর্তে ঝারুদারদের বানানো হয় নার্স আর ডাক্তারের কোন বালাই নেই। তিনি আরো জানান, গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক গুলোতে রোগী ভর্তি হলে বিভিন্ন ডাক্তারকে ফোন করে ডেকে আনা হয়। তার পর ভর্তি রোগীকে করানো হয় অপারেশন।
ক্লিনিক ম্যানেজার লক্ষন কুমার জানান, খুব খারাপ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সিজার অপারেশনের  জন্যে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী ফরিদা খাতুন আমাদের ক্লিনিকে ভর্তি হয়। পরে আমরা ডাক্তার গোলাম রহমানকে ডেকে এনে সিজার করানো হয়েছে। কিন্তু শনিবার রাত ১১টার দিকে আমাদের ক্লিনিকে ভর্তি থাকা অবস্থায় ফরিদা খাতুনের  মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে ডাক্তার গোলাম রহমানের সাথে একাধিক বার তার মুঠোফোনে ০১৭১২১০৭২২০ নম্বরে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর কর্মকর্তা ডাঃ প্রফুল্ল কুমার মজুমদার জানান, এখনও পর্যন্ত ক্লিনিকে রোগী মারা যাওয়ার খবর কেউ আমাকে জানাইনি। আর মুলত ক্লিনিক গুলো দেখাশোনা করেন জেলা সিভিল র্সাজন। যারই করনে হওতোবা আমাকে কেউ জানাইনি।
জেলা সিভিল র্সাজন (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার কুন্ডু জানান, ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারনে প্রসুতি ফরিদা খাতুনের মৃত্যুর খবর এই প্রথম আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। আমি নিজে গিয়ে তদন্ত করে দেখব।
মহেশপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত কেউ আমাদেরকে জানায়নি বা থানায় কেউ কোন অভিযোগও করতে আসেনি। তিনি আরও জানান, যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *