Sun. Apr 21st, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলেগেলেন নূতন স্যার

1 min read

সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলেগেলেন নূতন স্যার

সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলেগেলেন নূতন স্যার
সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলেগেলেন নূতন স্যার

“সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ছিল তাঁর প্রাণবন্ত উপস্থিতি। বিতর্ক, উপস্থিত বত্তৃদ্ধতাসহ শহরের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতায় ঋদ্ধ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আলোকিত করতে সব সময় সচেষ্ট থাকতেন তিনি। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সেই সহযোগী অধ্যাপক, শহরবাসীর ‘নূতন স্যার’ এহেতাশামুল হক (৫৩) আর নেই। শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।

নূতন স্যারের মৃত্যুর সংবাদ শহরে ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সহকর্মী, শিক্ষার্থী, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা হাসপাতালে ছুটে যান। ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতলের পরিবেশ। এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় সেখানে। নূতন স্যারের স্ত্রী ঝিনাইদহ সরকারি নুরুননাহার মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাহাবুব আরা পিংকি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বারবার মূর্ছা যচ্ছিলেন। শোকের ছায়া নেমে এসেছে নূতন স্যারের কলেজেও।

হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুও। তিনি নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এহেতাশামুল হক কালের কণ্ঠ’র পাঠক ফোরাম শুভসংঘের ঝিনাইদহ জেলা সহসভাপতি ছিলেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে শুভসংঘের সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ তোবারক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস এক বিবৃতিতে রুহের মাগফিরাত কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। গতকাল বাদ আসর ঝিনাইদহ উজির আলি ঈদগাহ ময়দানে তাঁর জানাজা হয়। এতে সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। পরে তাঁকে ঝিনাইদহ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এহেতাশামুল হক ১৯৯২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্স শেষ করেন। পরে ঝিনাইদহ নুরুননাহার মহিলা কলেজে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। তিনি ঝিনাইদহ শহরের মদন মোহন মন্দিরপাড়ার মৃত ওয়াজিউল হকের ছেলে। তিনি স্ত্রী মাহাবুব আরা পিংকিসহ এক ছেলে, তিন মেয়ে রেখে গেছেন। ছেলেমেয়েরা সবাই লেখাপড়া করছে। তাঁর মৃত্যুতে ঝিনাইদহবাসী একজন আলোকিত মানুষ হারাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *