Sat. Apr 20th, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

১৯ জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল

1 min read

ঝিনাইদহ নিউজ ডেস্ক: তীব্র প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার ভারতের ওড়িশা হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। এজন্য উপকূলীয় ১৯ জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার (৩ মে) বিকেলের দিকে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে ওইদিন সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।

ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর অফিস আদেশে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সব শাখা ১ মে থেকে প্রতিদিন খোলা থাকবে।

একই সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয় এবং জরুরি কাজের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১ মে থেকে সব ছুটি বাতিলের কথাও জানানো হয় ওই অফিস আদেশে।

৩ ও ৪ মে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত সংশ্লিষ্ট দফতর খোলা থাকবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত দুটি অফিস আদেশ জারি করেছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আশঙ্কা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব নৌযান বন্দরে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি তথ্য ও নির্দেশনা আদান-প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর এবং সংস্থায় কন্ট্রোল রুম খোলা নিশ্চিত করতে হবে।

এ ছাড়া উপকূলীয় ১৯ জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম), ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) উৎপল কুমার দাস এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভলান্টিয়ারদের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত, তারা কাজও শুরু করেছেন। এ ছাড়া সিপিপির (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) হেড কোয়ার্টার উপকূলীয় জেলাগুলোতে কাজ শুরু করেছে।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, রেডক্রিসেন্টের কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। উপকূলীয় আর্মি স্টেশনগুলোতেও ঢাকা থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

উপকূলীয় জেলার প্রশাসকদের কাছে ২০০ টন চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে ৫ লাখ করে টাকাও দেয়া আছে। একই সঙ্গে ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্যালাইনের জন্য সুপেয় পানির জন্য পানির ট্রাক পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *