ঝিনাইদহে কৃষকের নিরাপত্তার সঙ্গি কাজী এমদাদ
1 min readঝিনাইদহ নিউজ: কৃষক নান্নু মিয়া প্রখর রোদে ফসলের ক্ষেতে কাজ করছেন। শরীর থেকে ঘাম ঝরছে তাঁর। ফাঁকা মাঠের মধ্যে তাঁর সবজি ক্ষেত। গাছপালা না থাকায় মাথার উপর কোনো ছায়া নেই। শুধু জড়িয়ে রেখেছেন গামছা। যে গামছাটাও রোদের তাপে গরম হয়ে উঠেছে। এমনই সময় তার মাথায় মাথাল পরিয়ে দেন কৃষকবন্ধু কাজী এমদাদুল হক। আরেক কৃষক আব্দুল মমিনের অবস্থাও একই। রোদের তাপে মাথা প্রচন্ড গরম। এমদাদুল হক সেই মাথাতেও ছায়া এনে দেন, পরিয়ে দেন কৃষি কাজের উপযোগি মাথাল।
শুধু মাথাল নয় কেউ মাক্স ছাড়া জমিতে কীটনাশক স্প্রে করলে ছুটে যান এমদাদ। নিরাপত্তার জন্য তাঁর মুখেও বেঁধে দেন মাক্স। কোনো কৃষক লুঙ্গি পরে ফসলের ক্ষেতে নামলে তাকে প্যান্ট পরার পরামর্শ দেন, আর্থিক ভাবেও সহযোগিতা করেন। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হাতে তুলে দেন সাবান। রাতে ভালোভাবে ঘুমানো জন্য দেন মশারী। নিরক্ষর কৃষককে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করতে নৈশ্য বিদ্যালয়ে পাঠদান করান। কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার কমাতে কেঁচো সার তৈরীর পরামর্শ ও প্রশিক্ষন দেন। বিনামুল্যে কেঁচো সরবরাহ করেন। কৃষকের রক্তের গ্রুপ নির্নয়, ঔষধী গাছের চারা বিতরন করেন। এভাবে বছরের পর বছর কৃষকের রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন কাজী এমদাদুল হক। বিনিময়ে পেয়েছেন এলাকার মানুষের ভালোবাসা।
কৃষকের ছেলে এমদাদ: কাজী এমদাদুল হক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের কৃষক মৃত কাজী আব্দুল ওয়াহেদের তৃতীয় সন্তান। তারা চার ভাই আর দুই বোন। বাবা কৃষি কাজের পাশাপাশি সামাজিক কাজেও জড়িত ছিলেন। এলাকার মানুষ তাই সেই সময়ে (পাকিস্থান থাকা কালে) তাকে মেম্বার নির্বাচিত করেন। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি সহায্য পৌছে দিয়ে মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছিলেন। তারই বড় ছেলে কাজী এমদাদুল হক কামলাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করেন। এরপর ১৯৮৮ সালে কোলাবাজার ইউনাইটেড হাই স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৯০ সালে খুলনা আজম খাঁন কর্মাস কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। তারপর রামপাল ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষা দেন। কিন্তু ১৯৯১ সালে তার বাবা মারা যাওয়ায় পড়ালেখা বেশি দুর চালাতে পারেননি। একটি সে-সরকারী কোম্পানীতে চাকুরী নিয়ে চলে যান জামালপুর। সেই চাকুরিটিও শেষ পর্যন্ত করা হয়নি। ছোট ভায়েরা পড়ালেখা করতে বাড়ি ছাড়লে এমদাদ কোম্পানীর চাকুরি ছেড়ে বাড়ি ফেরেন। লেগে পড়েন কৃষিকাজে। স্ত্রী, দুই মেয়ে আর এক ছেলে নিয়ে তার সংসার। নিজে কৃষি কাজের পাশাপাশি গ্রামের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষাকতা করেন। সেখানে বেতন না থাকায় বাড়িতে ছাত্র পড়িয়ে আর কৃষি কাজ থেকে আয় করে সংসার চালান।
যেভাবে শুরু: কাজী এমদাদুল হকের বাবা কাজী আব্দুল ওয়াহেদের নাম বললেই এলাকার মানুষ শ্রদ্ধা করেন। মুহুর্তেই বলে ওঠেন, তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। এসব শুনে ভালো লাগতো এমদাদের। ক্ষেতে-খামারে কাজ করতেন আর বাবার প্রশংসা শুনে মনে মনে ভাবতেন কিছু একটা করবেন। কৃষি কাজের প্রয়োজনে মাঠের পর মাঠ ঘুরতেন আর দেখতেন কিভাবে কৃষকরা কষ্ট করেন। তাদের কতটা নিরাপত্তার অভাব। কেউ মাথার উপর একটা কাপড় দিয়ে প্রখর রোদের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আবার কেউ মুখে কোনো কাপড় ছাড়াই কীটনাশক স্প্রে করছেন। এসব দেখে তার ইচ্ছা হয় কৃষকের জন্য কাজ করবেন। এমদাদুল হক জানান, তখন ২০০৬ সাল। একদিন বাড়িতে কয়েকজন প্রতিবেশিকে নিয়ে বসেন। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। খেটেখাওয়া মানুষগুলোর নিরাপত্তায় তারা কি করতে পারেন। সেই ইচ্ছা থেকে প্রথমেই শুরু করেন পাড়ায় পাড়ায় কৃষকদের নিয়ে বৈঠক করা। এই বৈঠকগুলো রাতে হওয়ায় সেকানে পাঠদানের ব্যবস্থা। এরপর পর্যায়ক্রমে কৃষকের নিরাপত্তায় নানা কাজে জড়িয়ে পড়েন। তিনি জানান, কৃষককে আরো বেশি সহযোগিতা দেওয়ার ইচ্ছায় অন্যদের এই কাজে সঙ্গি করেছেন। আর সে জন্য বাবার নামে ‘কাজী আব্দুল ওয়াহেদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্টা করেছেন। এই ফাউন্ডেশনের একটি কমিটি আছে। যার সভাপতি তিনি নিজে, আর সম্পাদক হচ্ছেন মোহাম্মদ আলী। ২১ সদস্যের এই কমিটি এমদাদুল হকের সকল কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
মাথাল আর মাক্স বিতরণ: কাজী এমদাদুল হক জানান, তিনি কোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা। এই ইউনিয়নে ১১ টি গ্রাম রয়েছে। এ সকল গ্রামে কৃষি জমি আছে ২ হাজার ৬৬০ হেক্টর। যেখানে কৃষক পরিবার আছে ৬ হাজার ৬২৪ টি। আর প্রতিটি গ্রামে ৭০ থেকে ৮০ জন আছেন যারা অন্যের জমিতে কাচ করেন। আবার নিজের জমিতে কাজ করেন এমন অনেক পরিবার আছেন যার অসচ্ছল। কোনো রকমে দিন চলে, লজ্জায় পরের ক্ষেতে যান না। এমদাদ জানান, এই কৃষকদের নিয়েই কাজ শুরু করেন। প্রথম দিকে তিনি মাঠের পর ঘুরে কৃষকের তালিকা তৈরী করেন। যারা মাথায় মাথাল ব্যবহার করেন না এবং মুখে মাক্স দেন না তাদের তালিকা করেন। সেই তালিকা অনুযায়ি তার বাড়িতে ডাক দেন। এরপর তাদের হাতে তুলে দেন মাথাল আর মাক্স। এছাড়া মাথাল হাতে নিয়েও ছোটেন মাঠের পর মাঠ। যার মাথায় মাথাল নেই, তার মাথাতেই পরিয়ে দেন মাথাল। কীনটাশক স্প্রে করছেন অথচ মাক্স নেই দেখলে ক্ষেতের মধ্যে ছুটে গিয়ে মাক্স পরিয়ে দিয়ে থাকেন। এমদাদুল হক জানান, তার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ইতিমধ্যে এক হাজারের অধিক মাথাল পৌছে দিয়েছেন তিনি। আর মাক্স দিয়েছেন আরো বেশি। কীটনাশক ব্যবহারেই শুধু নয় মাঠে কৃষককে কাজ করতে দেখলেই তিনি মুখে মাক্স বেঁধে দেন। এটি বহনযোগ্য হওয়ায় সারাক্ষণ শরীরে বহন করেন এবং সুযোগ পেলেই বেঁধে দেন।
কৃষককে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করে তোলা
কাজী এমদাদুল হক জানান, কৃষক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছেন তাদের মধ্যে অক্ষরজ্ঞান না থাকায় সবচে বেশি সমস্যায় পড়েন। কোন ফসলের কি পরিচর্জা, কখন কোন সার ব্যবহার করতে হবে তা বোঝেন না। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া পরামর্শও দ্রুত ভুলে যান। লিখতে না পারায় কোনো কিছুই ধরে রাখতে পারেন না কৃষকরা। তাই তিনি সিদ্দান্ত নেন পাড়ায় পাড়ায় নৈশ্য বিদ্যালয় প্রতিষ্টা করে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করে তুলবেন। আর এ লক্ষ্য নিয়ে তিনি ১১ টি গ্রামের কৃষকদের অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করতে নৈশ্য বিদ্যালয়ের মাধ্যমে পড়ালেখা করানোর কাজ শুরু করেছেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৮ টি গ্রামে ১৩ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৫ শতাধিক কৃষককে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করে তুলেছেন। গ্রামগুলো হচ্ছে হাজিরাগাছি, কাকলাশ, কাদিরডাঙ্গা, দৌলতপুর, কামালহাট, পান্তাপাড়া, চুকাইতলা ও কোলা। প্রতিটি কেন্দ্রে ৪০ জন করে পাঠদান করিয়েছেন। কিছু কিছু কেন্দ্রে ২/৪ জন কম হয়েছে। কৃষকদের পাঠদান তিনি নিজেই নিয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্র প্রায় ৪ মাস চালু রাখতে হয়েছে। তারপর অক্ষরজ্ঞান না থাকা কৃষকরা লিখতে শিখেছে। এখন তারা নিজের নাম লেখেন। এমদাদুল হক আরো জানান, এই কাজে গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো তিনি ব্যবহার করেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একটি কক্ষ ব্যবহার করে স্কুল চালিয়েছেন। সেখানে আলো, খাতা, কলমের ব্যবস্থা তিনি নিজে করতেন। এর জন্য কাউকে কোনো পয়সা দিতে হতো না। সম্পূর্ণ ফ্রি পড়িয়েছেন তিনি। এমদাদ জানান, বাকি গ্রামগুলোতে পড়ানোর কাজ চলছে।
সাবান-মশারী বিতরণ: কৃষকবন্ধু এমদাদুল হক জানান, তার এলাকার অনেক কৃষক মাঠ থেকে কাজ শেষে বাড়ি এসে নিজের শরীরটা ভালোভাবে পরিষ্কার করতেন না। আবার রাতে মশায় কাটবে, কিন্তু মশারী ব্যবহার করবেন না। সচেতনতা না থাকায় এগুলো তারা করতেন। তাই তিনি সিদ্দান্ত নেন কৃষকদের সচেতন করতে হবে। এ জন্য তিনি কৃষকদের মাঝে সাবান বিতরণ শুরু করেন। পাশাপাশি মশারী তুলে দেন। এভাবে ইউনিয়নের অনেক কৃষকের হাতে সাবান আর মশারী তুলে দিয়েছেন। এখন কৃষকরাই সাবান ব্যবহার করছেন। নিজেরা মশারী কিনে তার মধ্যে আরামে ঘুমাচ্ছেন। এমদাদ জানান, এমন একটা সময় ছিল যখন কৃষকের বাড়ির বাথরুমে সাবান আছে কিনা তা তিনি নিজে দেখে বেড়িয়েছেন। এখন শতভাগ কৃষকই বাথরুমে সাবান ব্যবহার করেন।
কেঁচো সার তৈরীর প্রশিক্ষন ও কেঁচো বিতরণ: এমদাদুল হক নিজে কেঁচো সার তৈরী করতে জানেন। স্থানিয় একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে তিনি প্রশিক্ষন নিয়েছেন। এখন গ্রামের কৃষকদের প্রশিক্ষন দেন। যারা এই সার তৈরীতে আগ্রহ প্রকাশ করনে তাদের তিনি প্রশিক্ষণ দেন। শুধু প্রশিক্ষনই নয়, ওই কৃষকদের মাঝে কেঁচো বিতরণ করেন। এভাবে গোটা কোলা ইউনিয়নে অনেক কৃষক এখন কেঁচো সার তৈরী করেন। যারা নিজেদের জমিতে ব্যবহারে পাশাপাশি অন্যের কাছে বিক্রিও করছেন। এতে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করতে পারছেন কৃষকরা।
আরো যা করেন: কৃষক এমদাদুল হক জানান, তার নানামুখি কাজের মধ্যে রয়েছে কৃষকদের রক্তের গ্রুপ নির্নয় করে দেওয়া। ২ হাাজরের অধিক কৃষকের রক্তের গ্রুপ নির্নয় করেছেন। এ সময় উপস্থিত চিকিৎসক দিয়ে ৮ শতাধিক ব্যক্তির নানা রোগের ব্যবস্তাপত্রও দিয়েছেন। তিনি ২০ হাজার বনজ ও ফলজ গাছের চারা আর ১৫ হাজার তালের আটি রোপন করেছেন। কৃষকের মাঝে শীতবস্ত্র, ঈদের সময় সেমাই-চিনি বিতরণ করেন। কৃষকের মেধাবী সন্তানকে সংবর্ধনা দেন। এমনকি ফ্রি প্রাইভেটের ব্যবস্তা করেন। তিনি যা আয় করেন তার একটা অংশ এ কাজে ব্যয় করেন। পাশাপাশি তার ছোট ভায়েরাও সহযোগিতা করেন বলে জানান এমদাদ।
স্থানিয়রা যা বললেন: দৌলতপুর গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান জানান, তিনি ইতিপূর্বে পড়তে বা লিখতে পারতেন না। এমদাদুল হকের স্কুলে পড়ে এখন লিখতে ও পড়তে পারেন। বিনোদপুর গ্রামের সুব্রত বিশ্বাস জানান, তাদের এলাকার সব মানুষ এই এমদাদুল হককে চেনেন। কারো কোনো সমস্যা হলে তার কাছেই ছুটে যান। তিনিও এমদাদ এর সহযোগিতায় কৃষি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন। কামালহাট গ্রামের মোমিনুর রহমান জানান, মাথাল ছাড়া মাঠে কাজ করতে দেখলে এমদাদ ভায়ের মাথা ঠিক থাকে না। ছুটে গিয়ে ওই কৃষকের মাথায় একটি মাথাল পরিয়ে দেন। বিনোদপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ জানান, একদিন তিনি মাঠে কাজ করছিলেন। ধানের ক্ষেতে ঔষধ স্প্রে করার সময় মুখে কোনো কাপড় ছিল না। এই দেখে তিনি পকেট থেকে একটি মার্কস বের করে পরিয়ে দেন। কোলা এলাকার মাঠের রাস্তা দিয়ে চলার সময় ক্ষেতে কাজ করা মোশারফ হোসেন নামের এক কৃষককে এমদাদ সম্পর্কে প্রশ্ন করলেই তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন। জানতে চান তার মতো আরেকটা ভালো মানুষ এই ইউনিয়নে আছে কি”। লাল চাঁদ বিশ^াসের স্ত্রী চম্পা বেগম বললেন, তিনি এলাকার মানুষের জন্য যা করেন আমরা সবাই মিলে তা করলে দেশ উন্নত হতো।
জনপ্রতিনিধিদের কথা: কোলা ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার সাবুর আলী জানান, এমদাদুল হক সারাক্ষণ মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। কখনও তালের আটি রোপন, কখনও ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপন। জনগনের সমস্যা নিয়ে দিন-রাত ছুটে বেড়ান তিনি। তার সমাজ কল্যান মূলক কাজ তাদেরও অনুপ্রানিত করেছে বলে জানান। আর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন জানান, এমদাদের সমাজ কল্যানমূলক কাজের কাছেও তারা যেতে পারেন না। তিনি সারাক্ষন এলাকার মানুষ নিয়ে ভাবেন। নিজে যে পয়সা উপার্যন করেন তা পরিবারের পেছনে খরচ কম করে এলাকার মানুষের পেছনে করেন। কৃষকদের মাঝে মাথাল বিতরণ সহ তার বেশ কয়েকটি কর্মসুচিতে তিনিও অংশ নিয়েছেন। এগুলো দেখলে মনে হয় এই সমাজে ভালো মানুষ আছে বলেই আমরা আছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহিদুল করিম জানান, এমদাদুল হক কৃষক নিয়ে ভাবেন। কৃষকের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবেন। তিনি কৃষককে নানা ভাবে পরামর্শ দেন। কিভাবে তারা নিরাপদে থাকবেন, নিরাপদে কাজ করবেন এগুলো নিয়ে তার চিন্তা। তার এই কাজ দেখে স্থানিয় কৃষি বিভাগ মুগ্ধ। তাই তারা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এমদাদুল হকের বাড়িতে একটি কৃষি পাঠাগার করে দিয়েছেন। সেখানে একটি আলমীরাসহ বেশ কিছু বইও দিয়েছেন। এলাকার কৃষকরা সেই পাঠাগারে বই পড়ে কৃষির অনেক কিছু জানতে পারছেন।