ঝিনাইদহে দুধের শিশুসহ মা গেল জেলহাজতে
1 min readঝিনাইদহ নিউজ:
ঝিনাইদহে দুধের শিশুসহ মা কে পাঁঠানো হয়েছে জেল হাজতে। ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নিল্ওে জেলার কালিগঞ্জ থানা পুলিশ এই কান্ড ঘটিয়েছে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ব্রিকফিল্ড এলাকার বাসিন্দা আটক চায়নার স্বামী আব্দুস ছালাম জানিয়েছেন, রোববার সকাল ছয় টার দিকে ঘুম থেকে উঠে বাড়ীর কাজ শেষে গরু বাঁধতে যাচ্ছিল। এ সময় প্রতিবেশি সেলিমের পুত্র ঈমন সহ ১০-১২ জন যুবক তার বাড়িতে আসে। তারা বাড়ি সংলগ্ন প্রতিবেশি শিল্পি খাতুনের বাড়ির চালের উপরে থাকা ৪ বোতল ফেনসিডিল পায়। ওই ফেনসিডিল চায়না বেগমের বলে দাবী করে যুবকরা চায়না মাদক ব্যাবসায়ী বলে থানা পুলিশে সোপর্দ্দ করে। এ খবর পেয়ে সকালেই চায়নার মেয়ে চাপালী গ্রামের সাজুর স্ত্রী ছালমা তার মাকে দেখতে থানাতে যায়। এ সময় থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন, মেয়ে ছালমাকে বলে মাকে মুক্ত করতে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। সর্বশেষ ছাড়তে ৩০ হাজার টাকা চুক্তি হয়।
এদিকে দিনমজুর চা দোকানী পিতার পক্ষে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব না হওয়ার বিপাকে পড়ে মেয়ে ছালমা। এরপর বাধ্য হয়েই তার গলার ২ টি চেইন ও ২ টি কানের দুল বাজারে একটি স্বর্ণের দোকানে ৩০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখে। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ছালমা থানাতে গিয়ে এস আই দেলোয়ার হোসেনকে ওই ৩০ হাজার টাকা দেয়। টাকা নিয়ে পুলিশ আটক চায়নাকে দুপুরের পর ছেড়ে দিবে বলে জানায়। এরপর দুপুরে চায়না কে না ছেড়ে রাতে ছাড়বে বলে জানায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ তাকে না ছেড়ে পরদিন সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে আটক চায়নার কোলে থাকা ১৩ মাসের দুধের শিশু সহ তাকে জেল হাজতে প্রেরন করে। এদিকে পুলিশের কবলে পড়ে স্ত্রী, দুধের শিশু কন্যা ও মেয়ের গহনা হাতছাড়া হওয়ায় দিশেহারা হয়ে বিচারের আশায় গৃহকর্তা আব্দুস ছালাম এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
এ বিষয়ে থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন আসামী ছাড়তে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, চায়না একজন মাদক ব্যাবসায়ী। জনতা তাকে মাদক সহ থানায় সোপর্দ্দ করায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচাজ ইউনুচ আলী জানান, এস আই দেলোয়ার কর্তৃক আসামীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে, ঘটনাটি সত্য হলে তিনি ওই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান।