সাড়ে চার লাখ মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক

সাড়ে চার লাখ মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক

সাড়ে চার লাখ মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক

লোকবল ও চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা। নয়জন কনসালটেন্ট ও ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও মাত্র তিনজন ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। তবে কর্তৃপক্ষ লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করলেও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে স্বীকার করতে নারাজ।
সাড়ে চার লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে গড়ে তোলা হয় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তবে লোকবল ও চিকিৎসকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। হাসপাতালের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর। রোগীদের দেয়া হয় নিম্নমানের খাবার। এমন অভিযোগ আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নয়জন কনসালটেন্ট ও মেডিকেল অফিসারসহ ২১ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে হাসপাতালটিতে। কিন্তু মাত্র দুজন মেডিকেল অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের নিয়োগ আছে হাসপাতালটিতে। তাদের মধ্যে আবার ডেপুটিশনে আছেন দুইজন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।
একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও বেশির ভাগ সময় তা নষ্ট থাকে। ফলে অ্যাম্বুলেন্সটি রোগীদের কোনো কাজেই আসছে না।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রিপন হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক না পেয়ে ক্লিনিকে যাচ্ছি। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানালেন, লোকবলের সীমাবদ্ধতা থাকলেও রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুসাইন সাফাত আরটিভি অনলাইনকে জানান, লোকবলের সংকট থাকলেও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে কর্তব্যরতরা।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির দিকে সরকার নজর দিলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।