Thu. May 2nd, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসুতি মায়ের মৃত্যু

1 min read
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসুতি মায়ের মৃত্যু

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসুতি মায়ের মৃত্যু

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসুতি মায়ের মৃত্যু
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসুতি মায়ের মৃত্যু

আমার শেষ করেছে যশোরের ইবনে সিনা হাসপাতাল। এ ভাবে কাঁদছিল আর বলছিল সোনিয়ার স্বামী দাউদ হোসেন। শুক্রবার দুপুরে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই প্রসুতি মায়ের মৃত্যু হয়।

ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষিকুন্ড গ্রামের দাউদ হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন। বাচ্চা প্রসবের সময় হওয়ায় দাউদ স্বরণাপন্ন হয় গ্রামের ডাক্তার বদিয়ারের সঙ্গে। ডাক্তার বদি কোটচাঁদপুরের ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে, গেল ৩ সেপ্টেম্বর ভর্তি করেন যশোরের ইবনে সিনা হাসপাতালে। অপারেশনের পর বাচ্চাও প্রসব করে। সুস্থ্য ছিল মা ও বাচ্চা।

এ ব্যাপারে দাউদ হোসেন বলেন, অপারেশনের পর সবাই ভাল ছিল। তবে হাসপাতালে থাকতে চাচ্ছিল সোনিয়া। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন দু’জনই ভাল আছে। নিয়ে যেতে পারেন। আর এ কারনে বৃহস্পতিবার তাদেরকে আমি বাড়িতে নিয়ে আসি।

এরপর অসুস্থ্যতা মনে করেন তাঁর স্ত্রী সোনিয়া। পরের দিন সকালে নিয়ে যাওয়া হয় কোটচাঁদপুর এ্যাডভ্যান্স মেডিকেলে ডাক্তার বিদার উদ্দিনের কাছে। তিনি রোগী দেখে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে বলেন তাদের। এর কিছুক্ষণ পর রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। তাকে দ্রুত ভর্তি করা হয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর চিকিৎসা দেয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন সোনিয়া। সোনিয়া এক কন্যা সন্তানের মা ছিলেন। এবার সিজিরিয়ান অপারেশনে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। তাঁর মুখের মায়ের ডাক শোনার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন সে।

এ ব্যাপারে কথা হয় ডাক্তার বিদার উদ্দিনের সঙ্গে তিনি বলেন, অপারেশনে রোগীর ভিতরে কোন সমস্যা ছিল। যা এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেও কোন লাভ হয়নি। কথা হয় কোটচাঁদপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ফারহানা শারমিনের সঙ্গে,তিনি বলেন আমাদের এখানে আনার পর আমরা কোন হিস্টিরি নিতে পারিনি। তবে মনে হচ্ছে তাঁর সেফটি সেমিয়া হয়েছিল। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *