Sat. May 4th, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সোহেলের লেখাপড়া

1 min read

টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সোহেলের লেখাপড়া

 

টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সোহেলের লেখাপড়া
টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সোহেলের লেখাপড়া

টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শৈলকূপা উপজেলার ২ নং মির্জাপুর ইউনিয়ের বড়দাহ গ্রামের ভ্যান চালক বাদশার ছেলে সোহেলের। জানাগেছে প্রায় ৪০ বছর আগে আনিপুর গ্রামের রব্বান মোল্লা ভাটই বাজারে হারিয়ে যাওয়া ৪ বছরের একটি ছেলে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। সে বলতে পারে না কোথায় তার বাড়ি কে তার বাবা মা। তারপর আর তার কেউ কোন খোঁজ খরব নিতে আসেনি। নাম তার বাদশা। সেই থেকে ধীরে ধীরে রব্বান মোল্লার বাড়িতে বড় হয় বাদশা। কখন ক্ষেতে দিন মজুর বিক্রয় কখন ভ্যান চালিয়ে রোজগার করে বাদশা। এই ভাবেই একদিন ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গা ঘেসে কোন রকমে মাথা গোজার ঠাই হয় বাদশার। বাদশা আজও জানে না তার প্রকৃত তার বাবা মা কে? বাদশা বিয়ে করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চেউনিয়া গ্রামের হত দরিদ্র মৃত আকবর মুন্সীর মেয়ে বিউটি খাতুন কে। এখানেই এদের ঘর আলো করে একে একে ৩ টি সন্তান। ভ্যান চালিয়ে ও পরের ক্ষেতে দিন মজুরের কাজ করে অনেক আসা নিয়ে তার বড় ছেলে সোহেল কে বড়দাহ দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪.৮১ পেয়ে দাখিল পাশ করে, পরে গাড়াগঞ্জ জিন্না আলম ডিগ্রী কলেজ থেকে এই বছরে ৩.৫৮ গ্রেডে মানবিকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। কিন্ত এখন আর সম্ভব হছে না সোহেলের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার। তাই ভ্যান চালক বাদশা অকুল আকুতি জানিয়ে সমাজের সহৃদয় ব্যাক্তিদের প্রতি।
বাদশার সোহেলি নামের একটি মেয়ে বড়দাহ দাখিল মাদ্রসার অষ্টম শ্রেণী ও ছোট্ট মেয়ে বড়দাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
বাদশা জানান সৃজনী থেকে লোন নিয়ে ভ্যান ক্রয় করে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিয়ে পরিবারের খরচ চালিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ চালান সম্ভব না। জীবনের সাথে নিজে অনেক যুদ্ধ করেছি স্বপ্ন ছিল ছেলে কে লেখাপড়া শিখায়ে মানুষের মত মানুষ করে তুলব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *