Tue. May 21st, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

বিদেশ পাঠানোর নামে ১১ যুবকের ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

1 min read
বিদেশ পাঠানোর নামে ১১ যুবকের ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

বিদেশ পাঠানোর নামে ১১ যুবকের ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

বিদেশ পাঠানোর নামে ১১ যুবকের ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
বিদেশ পাঠানোর নামে ১১ যুবকের ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর-কোটচাঁদপুর সীমান্তে কয়েকটি গ্রামে বিদেশ পাঠানোর নামে দালাল চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিছুতেই যেন তাদের রোখা সম্ভব হচ্ছে না।

দালালদের খপ্পরে পড়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের রুদ্রপুর গ্রামের ৫ যুবকসহ পাশের কয়েকটি গ্রামের ১১ জন বিদেশ যাবার নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তারা জায়গা জমি বিক্রি, ধার-দেনা করে দালালের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন।

এখন অভিযুক্ত দালান আকবর আলি ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেই মালেয়েশিয়ায় চলে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এই ঘটনায় বিদেশ প্রত্যাশী যুবকের পরিবারের লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, অভিযুক্ত দালাল আকাবর আলি দীর্ঘ ৯ বছর মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। তিনি যে কোম্পানিতে কাজ করে সেখানে ১৫-১৬ জন লোক লাগবে বলে প্রচার করতে থাকে। বাড়িতে এসে এসব শ্রমিককে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন বলে জানান।

গ্রামবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, দালাল আকবর আলির কথায় প্রলুব্ধ হয়ে আব্দুল মজিদ (৩৮) সারুটিয়া গ্রামের ইমন আলি (২২), শাহাদত হোসেন (২৭) এছাড়া বাজার গোপালপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩২), শ্রীপুর গ্রামের লাল্টু মিয়া (২৩) বলরামপুর গ্রামে মিজানুর রহমান (২৩) বেতাই গ্রামে আব্দুল খলিল (২৭) মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য আকবর আলীকে টাকা দেন। এদের কাছ থেকে মোট ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।

এ নিয়ে মালয়েশিয়ার কথিত দালাল রনির সঙ্গে মোবাইলে নানা ধরনের বাকবিতণ্ডা করেন ভুক্তভোগীরা। অবশেষে জানানো হয়, ২৮ নভেম্বর ছাড়া মালয়েশিয়ার কোন ফ্লাইট দিতে পারছে না। কিন্তু সেটিও ছিল বানোয়াট।

গত ২৫ নভেম্বর বিদেশ প্রত্যাশীদের ফোন করে আকবর আলী বলেন, আমি মালয়েশিয়ার যে দালালের কাছে টাকা দিয়েছি সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাছাড়া আমার ছুটি শেষ হয়ে গেছে। তাই আমি সরাসরি তার সঙ্গে দেখা করতে চলে এসেছি। অতিদ্রুত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছি। এমন কথা শুনে বিদেশ প্রত্যাশিত লোকজনের পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েন।

প্রতারণার শিকার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমি তার কথা মতে ইসলামী ব্যাংক ঝিকরগাছা শাখা ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছি। এ টাকা আমি নিজের জমিবন্ধক রেখে লোন নিয়ে তাকে দিয়েছি। যা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

স্থানীয় মেম্বার রেজাউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। যারা কিছু না জেনে শুনে তাকে টাকা দিয়েছে। তারা বোকামি করেছে। অন্ধ বিশ্বাসে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় দৌড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি লোকজনের মুখে শুনে প্রতারক ও প্রতারণার শিকার কয়েকজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতারণার শিকার লোকজন টাকা ফেরত পেতে পারে, সে মর্মে আকবর আলির পরিবারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহণের জন্য বলেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *