Mon. May 6th, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

হৃদয়ের বাদাম বিক্রির টাকায় চলে সংসার

1 min read

৯বছরের হৃদয়ের বাদাম বিক্রির টাকায় চলে সংসার

৯বছরের হৃদয়ের বাদাম বিক্রির টাকায় চলে সংসার
৯বছরের হৃদয়ের বাদাম বিক্রির টাকায় চলে সংসার

শহরের মুজিব চত্তর- পৌরপার্ক, এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে বাদামের ঝুড়ি কাঁধে নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। তারমধ্যে রয়েছে কাগজে মোড়ানো ছোট ছোট ১০টাকা মূল্যের বাদামের পেকেট। পরিচয় জানতে চাইলে ব্যস্ততার সাথে কষ্ট কন্ঠে বলে, আমি কি লেখাপড়া শিখতে পারবো না! আমার সহপাঠী কেউ আমার মত না! একথা বলে চোখের পর্দা ভিজিয়ে ফেলে ৯বছরের এক শিশু। নাম তার হৃদয়। বয়স অনুমান (৯)। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর চোরাস্তা এলাকার পিতা নিতাই, মাতাঃ অনিতার একমাত্র ছেলে। সে ক্ষুধার জালায় একটা ঝুড়ি কাঁধে নিয়ে ২দিন স্কুলে ক্লাস করে ১ দিন বাদাম ভাজা বিক্রি করে তার অন্ন জোগায়। কিন্তু সে ভিক্ষাকে ঘৃণা করে। সে শিক্ষা লাভ করে নিজেই সাবলম্বী হতে চাই। তাই তার জীবনের ইচ্ছা লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে। কিন্তু কোন স্বহৃদয়বান ব্যাক্তি যদি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হন। তাহলে তার জীবনের চলার পথ সুন্দর হতে পারে।
হৃদয় বলে, সারাদিন ৫০টা বাদামের পেকেট নিয়ে বাদাম বাদাম বলে ঘুরে বেড়ায়। বিক্রি করতে পারলে আমার পেটে ভাত যায়। কেউ রাখে না আমার খবর।
হৃদয় আরো বলে, আমার বাবা নাই, মা পাগল। আমার একটা অবিবাহিত দিদি আছে। সে লেখাপড়া করে। এবং আমাকে প্রতিদিন ৫০ পেকেট করে ১০টাকা মূল্যের বাদামের পেকেট করে দেয়। যে টাকা বিক্রি হয় তা আমার দিদির কাছে দিয়ে দিই। অনেক সময় অনেক নেশা খোররা আমার বাদাম বিক্রি করা টাকা কেড়ে নেয়। এভাবেই চলে আসছি ১বছর। এবং কাধে ফিতা ঝুলানো এক ঝাকা নিয়ে আর পারছি না বাদাম বিক্রি করতে। মাঝে মধ্যে কিছুক্ষণ করে বিরতি সময় কাটায়। আমার লেখাপড়া করার ইচ্ছা। আমি ২দিন স্কুলে যায় ১দিন বাদাম বিক্রি করি। সকালে বের হয় আর সন্ধায় বাড়ি ফিরি। শহর থেকে আমার বাড়ি প্রায় ৬কিলোমিটার। আমাকে অনেকে বলে তোমার বাসা কোথায়। আমি উত্তর দিই আর ভাবি হয়তোবা আমাকে কেউ সহযোগীতা করবে কিন্তু আজও কাউকে পেলাম না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *